আগরতলা : রাজ্যে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণ মহারানী তুলসীবতীর অবদান অনস্বীকার্য । মহারানীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। যা রাজ্যের নারী শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিগত দিনে মহারানী তুলসীবতীর অবদান এবং রাজ্য পরিবারের অবদান রাজ্যের মানুষের গোচরে আনা হতো না । এই ইতিহাস অবহেলিত ছিল । বর্তমান সরকার রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারে আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে । আজ মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা এ কথা বলেন । অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের রাজা মহারাজাদের অনেক অবদান রয়েছে । তিনি বলেন রাজ্যের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন । বর্তমান সরকার বিভিন্নভাবে রাজ্যের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবসময়ই বলেন মহিলাদের উন্নতি না হলে আমাদের সমাজ দেশ এগিয়ে যেতে পারে না । রাজ্য সরকার ও মহিলা স্বস্তি করন ও উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার রূপায়ণ করছে । তিনি বলেন রাজ্য সরকার সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে । সাধারণ ডিগ্রী কলেজ গুলোতে মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । রাজ্যের সাতটি জেলায় মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত থানা এবং মহিলাদের জন্য হেল্প ডেক্স চালু করা হয়েছে । প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথাও তুলে ধরেন । এই রাজ্যকে সার্বিকভাবে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে । এই অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যালয়ের বার্ষিক মুখপাত্র অন্বেষার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার কর্পোরেটর রত্না দত্ত, বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক নন্দন সরকার, মুখ্যমন্ত্রীর সহধর্মিনী স্বপ্না সাহা ,মহারানী তুলসীবতী এলা মনির প্রাক্তন সচিব পূর্ণিমা রায় প্রমুখ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহারানী তুলসীবতী এলা মনির সম্পাদক চন্দ্রা রায় ।