দেবীপুর রাজারটিলা এলাকার ভানুলাল দাস এবং ক্ষিতিশ দাস দুইজনে ভাইরা সম্পর্ক। একদিকে ভানুলাল দাস একেবারে অসহায়। অন্যদিকে ক্ষিতীশ দাস পুত্র এবং পুত্রবধূদের নিয়ে অনেক প্রভাবশালী।যদিও শাসক দলের চুনোপুটি নেতা বলে পরিচিত এলাকার মধ্যে। শ্বশুরবাড়ির দেওয়া ভানুলাল দাসের সম্পত্তি বলপূর্বক ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে ক্ষীতিশ দাসের তিন ছেলে দিলীপ দাস, প্রদীপ দাস এবং তপন দাস। এলাকায় দফায় দফায় সালিশি সভা হলেও তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে ভানুলাল দাসের উপর বারবার আক্রমণ চালিয়ে আসছে। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যাবেলা ভানুলাল দাসকে একাকি পেয়ে নিজ বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একেবারে প্রাণে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে নিজের একটি রান্না ঘরে রক্তাক্ত হয়ে প্রাকৃতিক কাজ পর্যন্ত করে দেয়। তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। তার অবস্থা গুরুতর হওয়াতে হাঁপানিয়া হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে ভানুলাল দাসকে আক্রান্ত করার পর দিলীপ দাস, প্রদীপ দাস, তপন দাস, অঞ্জনা দাস সুনিতী দাস ভানু দাসের ঘর থেকে ঘর থেকে ২ লক্ষ টাকা রাবারের বিক্রি করা এবং দুইটি স্বর্ণের চেইন এবং মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। এদিকে মধুপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে তার বাড়িতে এবং এসে শনিবার রাত দশটা নাগাদ তদন্ত চালায়। উল্লেখ্য এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা দফায় দফায় আলোচনা করেও মীমাংসা করতে পারেনি। অসহায় ভানুলাল দাসের উপর আক্রমণ চালায় সেই দিলীপ দাসের পরিবার।