গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালটি দিনের পর দিন বেহাল থেকে বেহালতর অবস্থায় পরিণত হয়েছে।নেই প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, হাতে গুনা কয়েকজন রয়েছেন নার্স। হাসপাতালে সরকারী ঔষধপত্র প্রায় শূন্যের কোটায়। সুই, সিরিঞ্জ, সেলাইন সহ অন্যান্য সমস্ত ঔষধ পত্র বাজারের ঔষধের দোকান থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে রোগী এবং অভিভাবকদের। মহকুমা হাসপাতালের দালান বাড়িটি নিয়েও চিন্তিত রোগী এবং অভিভাবকরা। হাসপাতালের ওই দালান বাড়িটি যেকোন সময় হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে। যদিও বার কয়েক ওই হাসপাতালর নড়বড়ে দালান বাড়িটির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর। মান্দাতা আমলের হাসপাতালের নড়বড়ে দালান বাড়িটির মেরামতির কাজে হাত লাগায় স্বাস্থ্য দপ্তর। যদিও মেরামতির কাজ চলছে একেবারেই শম্বুক গতিতে। এইভাবে মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি হাসপাতাল চলতে পারে কিনা তানিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উঠছে নানা প্রশ্ন। গন্ডাছড়া মহকুমার দুইটি ব্লক। ডুম্বুরনগর ব্লক এবং রইস্যাবাড়ি ব্লক। দুইটি ব্লকে এডিসি ভিলেজ সংখ্যা সাতাশটি। প্রায় প্রতিটি এডিসি ভিলেজেই রয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গত তিন চার বছর যাবৎ কোন এক অজ্ঞাত কারণে মহকুমার সিংহ ভাগ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রই প্রায় বন্ধ। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি কেন বন্ধ তার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। প্রায় কোটি টাকা ব্যয় -এ হাতিরমাথায় নির্মিত হাসপাতালে এখন সারমেয়র বসবাস। রইস্যাবাড়িতে রয়েছে একটি প্রাথমিক হাসপাতাল। বহু সমস্যাকে মাথায় নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে প্রাথমিক হাসপাতালটি। মহকুমার প্রায় আশি হাজার জাতি জনজাতিদের মানুষ জনদের একমাত্র নির্ভরশীল হাসপাতাল হচ্ছে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতাল। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের চরম গাফিলতির কারণে আজ চরম দৈন্যদশায় ভুগছে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালটি। বিভিন্ন অভিযোগে জানা গিয়েছে, উক্ত হাসপাতালে খাতায়পত্রে চিকিৎসকের সংখ্যা বারজন। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালটিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন মাত্র তিন থেকে চারজন চিকিৎসক। বাকি চিকিৎসকরা কোথায় নিদ্রা নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ জানে না। উক্ত হাসপাতালে নার্সের সংখ্যা হাতে গুনা। একেক জন নার্সকে আঠারো থেকে কুড়ি ঘন্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে শিশু, গায়নো এবং মেডিসিন -এর কম করেও পাঁচ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন। নার্সও পাঁচ থেকে সাত জন দরকার। হাসপাতালে সরকারী কোন ঔষধ পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ। সুই, সিরিঞ্জ সেলাইন পর্যন্ত বাজারের ঔষধের দোকান থেকে ক্রয় করে আনতে হচ্ছে রোগী বা অভিভাবকদের। এতে মহকুমার গরীব অংশের রোগী বা অভিভাবকদের টাকা পয়সার চাপে পড়তে হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের চরম উদাসীনতার ফলে মহকুমা হাসপাতালের নড়বড়ে দালান বাড়িটির মেরামতির কাজ চলছে শম্বুক গতিতে। কবে নাগাদ মেরামতির কাজ সম্পন্ন হবে তা কেউ জানে না। ভোট আসে ভোট যায়। ভোটের প্রচারে এসে ভোটারদের বাগে আনতে নেতা নেত্রীরা কতই না বস্তা পঁচা বুলি ঝাড়েন তার কোন ইয়ত্তা নেই। ভোট ফুরোলে সবই ফুড়ুৎ।