তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার সিভিল সোসাইটির ডাকা ২৪ ঘণ্টার ত্রিপুরা বনধকে ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে বনধটি পালিত হলেও, মুঙ্গিয়াকামি বাজারে ঘটে যায় এক বিতর্কিত অধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯ কৃষ্ণপুর মণ্ডলের বিজেপি রামকৃষ্ণপুর শক্তিকেন্দ্রে হঠাৎ করেই অতর্কিত হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, সিভিল সোসাইটির বনধ সমর্থনকারী কর্মীদের সঙ্গে থাকা কয়েকজন তিপ্রা মথা সমর্থক এই হামলা চালায়। ঘটনায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক আহত হন। আহতদের তড়িঘড়ি করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থলে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে এলাকাজুড়ে এখনও তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, আগামীকাল ২৪ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহা মুঙ্গিয়াকামি বাজারের মাঠে এক জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা। সেই জনসভাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপি কর্মীরা শক্তিকেন্দ্রে প্রস্তুতি সভা করছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ২৯ কৃষ্ণপুর মণ্ডল মাদার কমিটির অফিস সেক্রেটারি সুরেন্দ্র দেববর্মাসহ প্রায় ৪০ জন কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, সভা চলাকালীন সময়েই বনধ সমর্থনকারীরা জাতীয় সড়কের পাশে পিকেটিং করতে করতে হঠাৎই শক্তিকেন্দ্রে ঢুকে লাঠি, ইট-পাটকেল ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। এতে বহুজন গুরুতর আহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন মাদার কমিটির অফিস সেক্রেটারি সুরেন্দ্র দেববর্মাও। পুলিশ পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভাকে বানচাল করার উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পিত হামলা সংগঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রশাসন পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে।