রাজকুমার দাস চুরাইবাড়ি ১৪ নভেম্বর : একমাস ধরে বাপের বাড়িতে বসবাসরত টম্পি বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। শুক্রবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিনি নিজের কোলের শিশু কন্যাকে পাশের আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে বসতঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় কাপড় দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। মৃতার স্বামী ইলাস আলী বর্তমানে ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। মৃতার বাবা আফতাব উদ্দিন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে ঝগড়া চলছিল। স্বামী নাকি টম্পিকে তাঁর দেবরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে সন্দেহ করতেন। এই নিয়ে পরিবারে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়। কিন্তু স্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করলেও ইলাস আলী সন্দেহ ছাড়েননি এবং ফোনে বিভিন্ন সময় হুমকিও দিতেন বলেই দাবি গৃহ বধুর পরিবারের।গৃহ বধুর পরিবারের আরো অভিযোগ, শাশুড়ি এক মাস আগে টম্পিকে বাপের বাড়িতে রেখে যান এবং এরপর থেকেই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন ওই গৃহবধূ । আফতাব উদ্দিনের কথায়, "স্বামীর সন্দেহ আর মানসিক চাপে হয়তো আমার মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা সঠিক বিচার চাই। ঘটনার খবর জানানো হলেও স্বামীর বাড়ির কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি বলে জানিয়েছে গৃহবধুর পরিবার। কদমতলা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবারই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র এলাকায়।