রাজকুমার দাস চুরাইবাড়ি ১১ নভেম্বর : শুকনো মৌসুমের শুরুতেই পানীয় জল সংকটে গ্রামবাসীরা। ক্ষোভে পথ অবরোধ মহিলাদের। ঘটনা মঙ্গলবার ধর্মনগর মহাকুমার প্রত্যেক রায় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অবরোধ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। তাঁদের একটাই দাবি, এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল চাই।জানা গেছে, কালাছড়া ব্লকের অন্তর্গত প্রত্যেকরায় গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের ইছাই কাছিম নগরে গত দেড় মাস ধরে নেই বিশুদ্ধ পানীয় জল। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নীলকান্ত নাথকে জানালেও, তাঁর তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বাধ্য হয়ে মানুষ নিজের গাঢ়ের অর্থ ব্যয় করে জল কিনে খাচ্ছিলেন।স্থানীয়রা জানান, পূর্বে ডিডাব্লিউএস (DWS) দপ্তরের মাধ্যমে পাইপলাইনে জল সরবরাহ করা হতো। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে পাইপলাইনে জং ধরায় জল আসছে না। পাইপ সংস্কার বা পরিষ্কারের কাজও করা হয়নি। অভিযোগ, বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানালে তিনি নাকি বলেন, আমি নিজে জল কিনে খাচ্ছি, আপনারাও কিনে খান। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। কদমতলা-ধর্মনগরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কদমতলা থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশি হস্তক্ষেপেও অবরোধ ওঠেনি। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নীলকান্ত নাথ, কলাছড়া ব্লকের ভিডিও নারায়ণ দেবনাথ এবং ডিডাব্লিউএস দপ্তরের এসডিও সোহেল আহমেদ। দীর্ঘ আলোচনা শেষে অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করা হয় আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে। অবশেষে প্রশাসনের আশ্বাসে তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করেন প্রমিলা বাহিনী। তবে প্রশ্ন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে “জল জীবন মিশন” প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার যে সরকারি উদ্যোগ, তা কি আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে ? নাকি কাগজে কলমে একশ শতাংশ প্রতি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং বাস্তবে সরকারি অর্থের হরিন লুট চলছে। ?